জেলা প্রতিনিধি, যশোর: যশোরের কেশবপুরের সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুর রহমানের মাছের খামার দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী জামাল বাহিনী। এতে আজিজুর রহমানের ভাই আমিনুর রহমান ও ভাইপো আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার মধ্যকূল গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের মামলা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত জামাল বাহিনীর প্রধান শীর্ষ সন্ত্রাসী জামাল উদ্দীনকে আটক করেছে পুলিশ।
আসামিরা হলেন- কেশবপুর উপজেলার মধ্যকূল গ্রামের আবদুল গণি শেখের ছেলে জামাল উদ্দিন (২৯), মজিদ দফাদারের ছেলে জুয়েল দফাদার (৩৬), শফি সরদারের ছেলে ফিরোজ সরদার (২৮), ইসলাম সরদারের ছেলে রিপন সরদার (২৬), সাজ্জাদ সরদারের ছেলে শাওন সরদার (২৬), লুৎফর রহমান ঢালীর ছেলে হোসেন ঢালী (২৬), বায়সা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে মাসুদুজ্জামান (২৬) ও ছোট আলতাপোল গ্রামের আবদুল আজিজ ছোটোর ছেলে ইকরামুল (৩২)।
মামলার বাদী যুগান্তরের কেশবপুর প্রতিনিধি আজিজুর রহমান বলেন, জামাল বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ ছিল। কেশবপুর উপজেলার মধ্যকূল মৌজায় আমার বাড়ির পাশে আমার মাছের খামার রয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী জামাল বাহিনীর ক্যাডাররা আমার মাছের খামার দখলের চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, এ সময় বাধা দিলে আসামিরা হামলা চালিয়ে আমার ছোট ভাই আমিনুর রহমানকে (৪৬) মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে ঠেকাতে গেলে ভাইপোকেও পিটিয়ে জখম করে। একই সঙ্গে ২৩ হাজার ৭শ টাকা মূল্যের আমার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে। আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী জামাল বাহিনীর হাতে এলাকার মানুষ জিম্মি। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির আশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার ও আমার পরিবারের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হুমকি-ধমকিও দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত জামাল উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে। সন্ত্রাসী কার আশ্রয়ে আছে, সেটি দেখবে না পুলিশ। সন্ত্রাসীকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।